সাত দফা শান্তি প্রস্তাব

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হানাহানিতে অস্থির দেশবাসী এবং উদ্বিগ্ন বিশ্ববাসীকে তিনি শোনালেন আশার বাণী৷ বিদেশি কূটনীতিকদের কূটচাল এবং সাগর পারের মধ্যস্থতাকারীদের দৌড়ঝাপের মধ্যে প্রথম নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল তাকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনার জবাবে তুলে ধরলেন সংঘাত নিরসনে নির্বাচনমুখী সাত দফা প্রস্তাব৷ দেশের একজন উদ্বিগ্ন ও শান্তিকামী নাগরিক হিসেবে প্রস্তাবগুলো তুলে তিনি বিনীতভাবে বলেছেন, রাজনীতিকরা একমত হলে তারা এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারেন৷ ড. ইউনূসের তোলা প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-
১. শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন, পরিচালনা কমিটি নিয়মিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পরামর্শ দেবে৷
২ নির্বাচনের পর উভয় জোট মিলে কোয়ালিশন সরকার গঠন করবে৷ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হবেন৷ দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হবেন উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং আসন সংখ্যা যতোই হোক, তারা পাবে মন্ত্রিসভার এক-তৃতীয়াংশ পদ৷
৩. নির্বাচনের আগে দুই জোট মিলে প্রেসিডেন্Uরে নাম চূড়ান্ত করবে৷
৪. দুই জোটের অভিন্ন কর্মসূচিগুলো যেমন উপজেলা নির্বাচন, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ, চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিকায়ন, বিদ্যুত্ নীতি প্রণয়ন ও বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান, বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি, বিমানকে আধুনিক করা, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, বেতার টিভির স্বায়ত্তশাসন ইত্যাদি বিষয় তারা এক বছরে বাস্তবায়ন করবে৷
৫. কোয়ালিশন সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, পরিচয়পত্র দেয়া ইত্যাদি কাজ করবে৷
৬. সরকার এক বছর পর পদত্যাগ করবে এবং এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তবে দু’পক্ষ চাইলে মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো যেতে পারে৷ কিন্তু কোনোভাবেই দু’বছরের বেশি মেয়াদ হবে না৷
৭. কোয়ালিশন সরকারের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের ফলাফল সবাই সানন্দে গ্রহণ করবে৷

সূত্রঃ http://www.jaijaidin.com/view_news.php?News-ID=21384&issue=154&nav_id=1

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান