এবারের ছোট বাজেটে চমক থাকতে পারে অনেক

এবার বাজেট হবে যথাসম্ভব ছোট৷ কোনো ধরনের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা থাকবে না ২০০৭-০৮ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে৷ প্রধান লক্ষ্য থাকবে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি৷ রাজনৈতিক সরকারের মতো ভোট মাথায় রেখে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার কোনো উদ্দেশ্য থাকবে না৷ আয়-ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটি বাস্তবসম্মত বাজেট দেবে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার৷
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার কোনো অবস্থাতেই ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে না৷ সরকারের শীর্ষ মহলের এমন আভাস পেয়ে এডিপি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন৷
প্রতিবার বাজেটে বিশাল আকারের এডিপি ঘোষণা করা হয়৷ কিন্তু পরে তা কাটছাট করে অনেক কমিয়ে আনা হয়৷ চলতি অর্থ বছরেও ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল আকারের এডিপি ঘোষণা করা হয়৷ কিন্তু আর্থিক সঙ্কট এবং বাস্তবায়নের মন্থর গতির কারণে ইতিমধ্যে তা ২২ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ এ কারণেই আগামী অর্থ বছরের বাজেটে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় এমন কোনো লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে না৷ সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেমন চমক দেখাচ্ছে, আগামী বাজেটেও তেমন চমক থাকতে পারে বলে জানা গেছে৷
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গে যায়যায়দিনকে বলেন, এবার এমন একটি বাজেট দেয়া হবে যাতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থাকে৷ অতীতের মতো সামঞ্জস্যহীন উচ্চাভিলাষী বাজেট দেয়া হবে না৷ এমন বাজেট ঘোষণা করা হবে, যাতে পরে কোনো ধরনের কাটছাটের প্রয়োজন না হয়৷ অর্থাত্ কি পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতে পারে, বৈদেশিক সাহায্য কেমন আসবে- এ বিষয়গুলো সক্রিয় বিবেচনায় রেখেই বাস্তবভিত্তিক একটি বাজেট জাতির সামনে এবার উপস্থাপন করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান৷
এটা নিশ্চিত যে, এবার জাতীয় সংসদে নির্বাচিত কোনো সরকারের অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করছেন না৷ আগামী জুন মাসের শেষদিকে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে একটি বাজেট ঘোষণা করবেন৷ পরে প্রেসিডেন্ট তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করবেন বলে জানা গেছে৷
বাজেট তৈরির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শুরু করছে৷ বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে৷ আগামী ৭ মার্চ পরিকল্পনা বিভাগের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে বৈঠকের সূত্রপাত হবে৷ আর শেষ হবে ২২ এপৃল পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে৷ সব মিলিয়ে ৮০টির মতো বৈঠক হবে বলে জানা গেছে৷ Source:দৈনিক যায়যায়দিন
Date:2007-02-28

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান