তারেক জেল হাজতে

বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব তারেক রহমানকে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মুখোমুখি করা হলে মামুন বলেন, তারেক রহমান সব দুনর্ীতির সবকিছুই জানেন। কিন্তু তারেক রহমান এ সময় ছিলেন সম্পূর্ণ নিশ্চুপ।

অপরদিকে সন্দেহভাজন দুনর্ীতিবাজদের প্রায় এক হাজারের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে দ্বিতীয় পর্বে ৫০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ পায়। এইভাবে এক হাজারের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা যায়। এই তালিকায় রাজনৈতিক নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ছাড়াও সকল সেক্টরের দুনর্ীতিবাজরা রয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের চাঁদবাজির মামলার ৪ দিনের রিমান্ডের গতকাল সোমবার ছিল শেষ দিন। গতকাল রাতে তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তারেক রহমানকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সেখান থেকে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে তারেক রহমানের দুনর্ীতি অনিয়ম ও ৰমতা অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অনেক প্রমাণ কতর্ৃপৰ পেয়েছেন। তার বিরম্নদ্ধে আরও মামলা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। গুলশান থানায় তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে এক কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলায় তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। দ্রম্নত বিচার আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স রিমান্ডে তারেক রহমানকে ব্যাপক বিজ্ঞাসাবাদ করে। গত রবিবার রাতে তারেক রহমানের মুখোমুখি করা হয় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে। প্রায় ১৫ মিনিট দুই বন্ধু মুখোমুখি অবস্থায় ছিলেন। মামুন বন্ধু তারেক রহমানকে লৰ্য করে বলেন, দুনর্ীতি, অনিয়ম ও ৰমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার উৎস সম্পর্কে তারেক সবই জানেন। তিনি মামুনের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মাথা নীচু করে ছিলেন। মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, ইউরোপের একটি দেশসহ কয়েকটি দেশে তারেক রহমানের ৫ থেকে ৬টি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। অনেক ব্যক্তি তারেক রহমানকে দেশে উৎকোচ না দিয়ে বিদেশের এসব একাউন্টে অর্থ জমা দেন বলে জানা যায়। এই সকল ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকা থাকার তথ্য মামুন প্রকাশ করেছে। কতর্ৃপৰ এই সকল টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা নেবে বলে জানা যায়।

মামুনকে গত ৩১ জানুয়ারি রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করে। গত ৭ মার্চ রাতে ক্যান্টনমেন্ট শহীদ মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন গুলশান থানায় তার বিরম্নদ্ধে এক কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদি আমিন আহমেদ ভুঁইয়া। মামুনের তথ্যানুযায়ী তারেক রহমান সরকারের সকল সেক্টর থেকে টেন্ডারবাজি, নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য ও কেনাকাটার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

জামিনের শুনানি ১৯ মার্চ

আমাদের কোর্ট রিপোর্টার জানান, তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে দ্রম্নত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় জামিন চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট মামুন আল রশিদ গত ৮ মার্চ গভীর রাতে তারেক রহমানের জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে ম্যাজিস্ট্রেটের প্রদত্ত এ আদেশের প্রতি ৰুব্ধ হয়ে গতকাল সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তারেক রহমানের পৰে জামিনের আবেদন করা হয়।

জামিনের আবেদনে ঢাকা বারের সিনিয়র এডভোকেট সানাউলস্নাহ মিয়া আদালতে বলেছেন, তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে বাদি যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। গত ৩০ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারির ঘটনা সাজিয়ে ৮ মার্চ তারিখে বাদি তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে মামলা করেছেন। বাদির দায়েরকৃত এ মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারেক রহমানের ব্যক্তিগত ইমেজ, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, তার পারিবারিক ঐতিহ্য দেশবাসী ও বিশ্বের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই বাদি গুলশান থানায় তারেক রহমানের বিরম্নদ্ধে আইন-শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রম্নত বিচারের ৪ ধারায় মামলাটি অন্যায়ভাবে দায়ের করেছেন।

মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মমিন উলস্নাহ জামিনের দরখাসত্দ গ্রহণ করেন এবং শুনানির জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন।

সূত্রঃ 

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান