দক্ষিণ-পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চলের চরমপন্থী খুনিরা রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা রাজধানীতে চরমপন্থীদের আনাগোনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দেয়ার পরই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। চরমপন্থীদের এলাকায় দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন এমন পাঁচজন ইন্সপেক্টরের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরদিকে শায়খ আবদুর রহমানসহ ছয় শীর্ষ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরকে ব্যাহত করতে আত্মগোপনে থাকা জেএমবি’র জঙ্গিরা আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে এমন আশংকা রয়েছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চরমপন্থী এবং জেএমবি’র জঙ্গিদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের লড়্গ্যে সম্প্রতি ডিএমপি সদর দফতরে অতিরিক্ত আইজিপি পুলিশ কমিশনার নাইম আহমেদের সভাপতিত্বে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দু’টি স্পর্শকাতর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেয়া রিপোর্ট নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। রাজধানীতে চরমপন্থী এবং জঙ্গিদের অবস্থান মানেই যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের নাশকতার আশংকা। এদের দমন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত রবিবার থেকেই রাজধানীর ৩৩টি থানা এলাকায় চালু করা হয়েছে স্থায়ী পুলিশ চেকপোস্ট। এছাড়া একইদিন থেকে প্রতিটি থানা এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ চেকপোস্ট কাজ শুরম্ন করেছে। চরমপন্থীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ এবং তাদের গ্রেফতারের ব্যাপারে ওয়ারী ক্রাইম ডিভিশনের ডিসি মোঃ আবদুলস্নাহ আল মাহমুদকে কো-অর্ডিনেটর করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চরমপন্থীদের এলাকায় কাজ করেছেন এমন পাঁচজন ইন্সপেক্টর বর্তমানে রাজধানীতে কর্মরত। এরা হচ্ছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি এসএম শিবলী নোমান, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী আহসান হাবিব, নিউমার্কেট থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া, খিলড়্গেত থানার ওসি সৈয়দ জিয়াউজ্জামান এবং গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমানকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দ্রম্নততার সাথে রাজধানীতে চরমপন্থীদের অবস্থান চিহ্নিত করাসহ তালিকা তৈরি করবে। সূত্র আরো জানায়, তালিকা তৈরির পাশাপাশি গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগকে সম্ভাব্য সকল এলাকায় অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ছয় শীর্ষ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরের আগে আত্মগোপনে থাকা জেএমবি এবং জেএমজেবি’র জঙ্গিরা আঘাত হানার জন্যে তৎপরতা শুরম্ন করেছে। গোয়েন্দা সংস্থা এমন ইঙ্গিত দেয়ার পরই পুলিশ রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে সব ধরনের যানবাহন চেকিং ও সন্দেহভাজনদের দেহ তলস্নাশি শুরম্ন করেছে। পুলিশ জানায়, এ ধরনের চেকিং ও তলস্নাশি চালানোর জন্য আট ঘন্টার তিনটি শিফট চালু করা হয়েছে। প্রতিটি ক্রাইম ডিভিশনের ডিসি, এডিসি, জোনাল এসি এবং টহল টিমের এসিদের পর্যায়ক্রমে তিনটি শিফটের কার্যক্রম তদরকি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। Source:দৈনিক ইত্তেফাক
Date:2007-03-20