আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার রাতে লন্ডনে বলেছেন, বিএনপি’র সাথে তার দল কোন আঁতাত কিম্বা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করবে না। কারণ কোন দুর্গন্ধ নিয়ে আমাদের চলার ইচ্ছা নেই। পূর্ব লন্ডনের রেস্তোরায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজ সভায় তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা, কোন দলের সংস্কার করানোর দায়িত্ব তাদের নয়।
তিনি আরো বলেন, আমি কখনই আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চাইনি। আমার অবর্তমানে আমাকে দলের প্রধান করা হয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাদের দলের কাউন্সিলের সময় নির্বাচন কমিশন দলের কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়। তখন আমরা কোন পদে থাকি না। এরপর নাম প্রসত্দাব ও সমর্থন করা হয় এবং সেখান থেকেই দলের নেতা নির্বাচিত হন। বিবিসি জানায়, রাজনৈতিক দলের সংস্কার প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, বিষয়টি প্রত্যেক দলের নিজস্ব ব্যাপার।
শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সময় দলীয় কমর্ী-সমর্থকদেরকে শানত্দ থাকার আহবান জানাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার দেশে ফেরার পর কী অবস্থা তৈরি হয় তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করবে। ঢাকায় ফিরে কী ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন বলে আশা করছেন,- এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এটি না বলে বরং বলুন, আমি এই সরকারকে সমর্থন দিলাম, আর তারা আমার সঙ্গে এই ব্যবহার করল কেন? আগাম সমর্থন দেয়ার কথা বলে ভুল করলাম কিনা তা ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। তাদেরকে (সরকারকে) যখন আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম, জনগণও সমর্থন দিয়েছিল, এখন তাদেরকে অবস্থা খোঁজ নিতে বলবেন।
বিডিনিউজ জানায়, শেখ হাসিনা শুক্রবার লন্ডনে এক সাৰাৎকারে বলেছেন, দেশে ফেরার পর গ্রেফতার করা হলে কারাগারে যেতেও ভীত নন তিনি। রয়টার্সকে দেয়া সাৰাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, তারা (সরকার) আমাকে গ্রেফতার করতে পারে, মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি মাথা ঘামাচ্ছি না। আমাকে দেশে ফিরতেই হবে। সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কমর্ীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্রঃ http://www.ittefaq.com/get.php?d=07/05/06/w/n_zuuzmt